সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫

সাংবাদিকের মামলায় টিকটকার জান্নাতুল কারাগারে

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সম্মানহানির অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় টিকটকার জান্নাতুল ফেরদৌস টুকটুকিকে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।

এদিন জান্নাতুল ফেরদৌসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগের এসআই মোহসীন সরকার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষে মোহাম্মদ আশিক আল মামুন রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মূলত আসামি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মানসম্মান বিনষ্টকারী, চাঁদা দাবি করে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী এবং সমাজে অশ্লীলতা সৃষ্টি করাই তার নেশা ও পেশা বটে। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার, আসামির অপরাধ করার প্রক্রিয়া (মোডাস অপারেন্ডি) উদঘাটন, এজাহারের অপরাধে ব্যবহৃত অন্যান্য প্রমাণিক আলামত উদ্ধার জব্দ করা, ঘটনার সঙ্গে আরও কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা? তাদের গ্রেপ্তার ও নামঠিকানা যাচাই করা, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা, পৃষ্ঠপোষকতাকারীকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার তিন দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।

এর আগে গত ২৩ জুলাই রমনা মডেল থানায় দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আজিজুর রহমান টুটুল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি করেন। পরে গত ২৮ আগস্ট মাগুরা মোহাম্মদপুর থানার ৬নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে টুকটুকি এবং তার সহযোগী শিমুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তাদের তাকে কারাগার পাঠানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রমনার বাসায় অবস্থানকালে সকাল ১০টার দিকে বাদী আজিজুর রহমান টুটুল দেখতে পান, খবর মোহাম্মদপুর নামক একটি পেজ থেকে তার ছবি ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এরপর তারা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তার ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে তদন্তে টুকটুকি ও শিমুল মিয়ার সম্পৃক্ততা পায় ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম টিম।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More