বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরগুলোতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভোর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির ও বাড়িতে প্রতিমা স্থাপন, অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবী সরস্বতীর পূজা শুরু হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, বিদ্যা, জ্ঞান, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ লাভের জন্য শিক্ষার্থীরা বিশেষ উৎসাহের সঙ্গে এই পূজায় অংশ নেয়।
সরস্বতী পূজাকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, ঢাকেশ্বরী মন্দির, নবীনগর শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এসব স্থানে সকাল থেকেই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পূজায় মূলত শিক্ষার্থীরাই প্রধান ভূমিকা পালন করে। তারা প্রতিমা সাজানো, পূজার আয়োজন ও প্রসাদ বিতরণে অংশ নেয়। অনেকে হাতে আলপনা এঁকে, দেবীকে বই, মালা ও কলম উৎসর্গ করে বিদ্যা ও জ্ঞানের বর কামনা করেন।
সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্দির এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরস্বতী পূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সার্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম–বর্ণের মানুষ এতে অংশ নিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্ধু–বান্ধবদের সঙ্গে মিলেমিশে পূজার আনন্দ উপভোগ করছে সবাই।