বাংলায় কিছু শব্দ আছে যেগুলো বাম দিক থেকে লিখলে যা হয় উল্টো করে লিখলেও তাই হয়। বর্তমান সরকারের কাছে আমরা যে দাবি করি না কেন তারা যা বলে যা করে সবকিছু উল্টো দিক থেকে বিচার করলে একই হবে। এমন মন্তব্য করেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক যুব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমার কাছে মনে হয় দাবি জানানোর চেয়ে অনুসন্ধানী টিম করে নিজেদেরই উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। যে কোথায় কী হতে পারে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী গত ১৫ বছর অবহেলিত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আপনারা আমাদের এই কাজে সহায়তা করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী–সন্তানদের মনে যে কষ্ট তা দুনিয়ার অন্য কেউ বুঝবে না। গুম হওয়া প্রতিটি পরিবারের একই অবস্থা। তারা সেই গুম হওয়া ব্যক্তির নামের আগে শহীদও লিখতে পারে না। আবার জীবিত আছে সেটাও লিখতে পারে না। তাদের কবরও জিয়ারত করতে পারে না। এ রকম যন্ত্রণা পৃথিবীর মানুষের যেন না আসে। সে যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের ঢিলে তৎপরতার ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না। এ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। তার জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নেতৃবৃন্দদেরকে প্রোগ্রামে আনতে হবে, তাদেরকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রশাসনের ওপর দুটি জিনিস ভর করেছে। একটি হচ্ছে কোনোরকম অফিস টাইম কাজ করে বাসায় চলে যাওয়া। আরেকটি হচ্ছে কোনো ফাইল আসলে সেটা ধীর গতি করে সে ফাইলটা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। এই কাজগুলোর কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে আছে।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
ইএ