সরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘ইন্টার্নশিপ‘ করার সুযোগ ‘অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা‘ সঞ্চয়ের ‘সম্ভাবনা‘ হিসেবে দেখছেন, শিক্ষার্থীরা। আর জনবল সংকটে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের গতি বাড়বে বলে আশা চাকরিজীবীদের।
বিশ্লেষকদের মতে, সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে ইন্টার্নশিপের সুযোগ ‘দক্ষ মানবসম্পদ‘ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিষয়টিকে যুগোপযোগী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।
প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমেয়াদে হাতে কলমে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ বা ইন্টার্নশিপ করে থাকেন। এতদিন এই সুযোগ শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকলেও, প্রথমবারের মতো দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ আসছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ নীতিমালা, ২০২৩‘ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি অফিসের ‘কর্ম পদ্ধতি, শৃঙ্খলা, ও পেশাদারত্ব‘ কাছ থেকে দেখার সুযোগ অনেক কাজে লাগবে বলে মনে করেন তারা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এখনো খালি আছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি পদ। এই অবস্থায় ইন্টার্নশিপ লোকবল সংকট কমানো ও কাজের গতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন, সংশ্লিষ্টরা।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, ৩ থেকে ৬ মাসের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাওয়া যাবে। থাকবে নির্দিষ্ট পরিমান সম্মানি।
এসএ/দিপ্ত নিউজ