সকালে শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। সহজেই তৈরি করা যায় এমন পানীয় শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখার পাশাপাশি মৌসুমি সর্দি–জ্বরসহ অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
হলুদ ও আদা চা
হলুদে থাকা প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা হ্রাস পায়। আদার অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি উপাদান সর্দি–কাশির বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আমলকির রস
আমলকি প্রাকৃতিক ভিটামিন সি–এর অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস। প্রতিটি আমলকিতে ৬০০–৭০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা সাদা রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রোগ–জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
তুলসী চা
তুলসীর চা মানসিক চাপ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও জিংক শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি গলা ব্যথা ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার জন্যও উপকারী।
সবুজ স্মুদি
সকালের পানীয় হিসেবে সবুজ স্মুদি অত্যন্ত পুষ্টিকর। পালং শাক, শসা, আপেল ও আদা মিশিয়ে তৈরি এই স্মুদি ক্লোরোফিল, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করে।
হলুদ দুধ
হলুদ দুধ একটি ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক পানীয়, যা প্রদাহ কমায় ও হজমশক্তি উন্নত করে। দুধের সঙ্গে হলুদ ও এক চিমটি গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে এটি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
এই স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
ইএ/দীপ্ত টিভি