সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫

সংসদ নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেয়া হয়নি: রিজভী

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

সংসদ নির্বাচনে কাউকেই সবুজ সংকেত দেয়া হয়নি, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে পার্লামেন্টারি বোর্ডে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল বা সবুজ সংকেত দেয়া হয়নি। প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় নানা কার্যক্রমে যার পারফরমেন্স ভালো তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে। বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয় তার নিজস্ব গঠনতান্ত্রিক উপায়ে, কোন সবুজ সংকেতের মাধ্যমে নয়।

রিজভী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিংবা যে কোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারি বোর্ড পালন করে এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। আপনারা জানেন যে স্ট্যান্ডিং কমিটি যেটা সেটাই আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড। এতে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান। সুতরাং তফসিল ঘোষণার পরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা বিএনপির কেন্দ্র থেকে ঘোষণা ব্যতীত এখন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত কোন মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সারাদেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘সবুজ সংকেত নয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি ভার্চুয়ালি যে সকল এলাকায় কথা বলছেন সেখানেও তার বক্তব্যে তিনি এ কথাটি বলছেন বা ঢাকায় এসে যারা কথা বলছেন, যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে চান বা দলের কর্মী যারা আছেন, বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের প্রত্যেকেই তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন যে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবেনদল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্য সকলে আপনারা কাজ করবেন।

তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকার খবর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এখনই কোন মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাগিদ দিচ্ছেন অর্থাৎ বিএনপির নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, আমাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখতে হবে, আমাদের প্রত্যেককে গণসম্পৃক্ত কাজে সংশ্লিষ্ট থাকতে হবে। জনগণ বিরক্ত হয় এমন কোন কাজে দলের নেতাকর্মীরা কখনোই লিপ্ত থাকবে না, জড়িত থাকবে না। তাহলে অবশ্যই জনগণের রায় ধানের শীষের পক্ষেই আসবে।’

রিজভী বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের সারাদেশে ডোর টু ডোর গিয়ে আগামী দিনে জনগণের মুক্তির সনদ ৩১ দফা তুলে ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা বা বিভিন্ন ইউনিট জেলা পর্যায় কিংবা থানা পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাটে মানুষকে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে কেউ জানতে চাইলে একেবারে ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিতভাবে তাদের জানাচ্ছেন, বলছেন।

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঐক্য সুদৃঢ় করার এবং আরো জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বারবার একটি কথা বলেন যা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, সেটি হলো জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলে কোন প্রোপাগান্ডা জনগণকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন গভীর ষড়যন্ত্রের বীজ বুনতে শুরু করেছে কুচক্রি মহল। নানা অপতথ্য প্রচার করছে। ইতোমধ্যে তারা নানা বয়ান তৈরি করেছে। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য একের পর এক বহুমুখী অশুভ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা মিথ্যাচার করে বিএনপিকে নানা তকমা লাগানোর অপচেষ্টা করছে, তারাই কিছু গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে বিএনপির নামে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করছে বা করাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি কিছু পত্রপত্রিকা, গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির মনোনয়নের কথিত তালিকা ও নামধাম প্রকাশ করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি, অসন্তোষ এবং বিশৃঙ্খলা উস্কে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপযুক্ত সময়েই দলের নির্ধারিত যে প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দেওয়া হয় সে প্রক্রিয়াতেই যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় ব্যক্তিকেই বেছে নিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More