শেরপুরের গারো পাহাড়ে দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার তীর্থোৎসব’ পূর্ণমিলন সংস্কারের মাধ্যমে শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টেবর) বিকেল তিনটায় বারোমারী সাধু লিও’র খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে শুরু হয় এ তীর্থোৎসব।
“সিনোডীয় মন্ডলিতে মিলন, অংশ গ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে ফাতেমা রানী মা মারিয়া।” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে তীর্থোৎসবে শিশু,বৃদ্ধ ও নারী সহ হাজার হাজার পূর্ণার্থী অংশ গ্রহণ করে। তীর্থে ৫০ থেকে ৬০ হাজার খ্রীষ্টভক্তের আগমন ঘটবে বলে জানান বারোমারী খ্রিস্টান মিশনের ফাদার তরুণ বনোয়ারি।
এদিকে তীর্থোৎসবকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তীর্থোৎসবকে ঘিরে গারো পাহাড় জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
নালিতাবাড়ী গারো পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে ১৯৪২ সালে ফাদার মার্কস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বারোমারী মিশন। ১৯৯৮ সালে বারোমারী মিশনকে ধর্মপল্লী ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ। পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে স্থাপন করা হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থান। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার এখানে অনুষ্ঠিত হয় তীর্থ উৎসব। এবারো ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’র তীর্থোৎসবের শুরু হয়েছে। পূর্ণার্থীদের জন্য প্রায় পুরো তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। অতিথিদের জন্য টানানো হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
এ উৎসবকে ঘিরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ খ্রিস্টধর্ম সম্প্রদায়ের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। দুই দিনের উৎসবে দূর–দুরান্ত থেকে ৫০ হতে ৬০ হাজার পূণ্যার্থীর আগমন হয়। শুক্রবার সকালে খ্রীস্টযাগের মাধ্যমে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান।
মঞ্জুরুল আহসান/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ