সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৫০ জনকে সর্বনিম্ন চার ও সর্বোচ্চ ১০ বছর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে রায় উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় জেল হাজতে থাকা ৩৪ জন আসামীকে আদালতে আনা হয়। রায়কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
রায় প্রদানকালে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত কুমার চ্যাটার্জী, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি, সাবেক অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
আসামীপক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড, মিজানুর রজমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান পিন্টু, অ্যাড. মোস্তফা জামান প্রমুখ।
এ রায়কে একটি দৃষ্টান্তমূলক বলে দাবি করলেও রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে রায় সম্পর্কে আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২) বলেন, মামলার সম্পূর্ণ আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাবে না। আদালতের অদেশে কোন আসামী সংক্ষুব্ধ হলে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ দলীয় অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৮ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
আফ/দীপ্ত সংবাদ