শেখ হাসিনা সরকার সংখ্যালঘুদের দমন–পীড়নের হার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা ২০০১ সালে অনুপস্থিত ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন। এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি: সমস্যা এবং উত্তরণ’ বিষয়ে এলকপ পক্ষ থেকে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের একটি অংশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে সচেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশ খুবই কম সংখ্যক দেশের মধ্যে অন্যতম, যে দেশ সংখ্যালঘুদের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং তা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এলকপ চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভেন থেরো সুনন্দপ্রিয়, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
অ্যাডভোকেট রানা দাস বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ওপর একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সহিংসতা ঘটেছে। সরকারের উচিত এর পেছনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সংখ্যালঘুদের ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
সুনন্দপ্রিয় বলেন, ‘সংখ্যালঘুরা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনেক ভালো অবস্থানে আছেন।’
সেমিনারে মুক্ত আলোচনা পর্ব রাখা হয়। মুক্ত আলোচনায় বিদেশি কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও, আই–এনজিও এবং মানবাধিকার কর্মীরাও অংশ নেন।
এসএ/দীপ্ত নিউজ