৩৬ দিন আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা রূপ নিয়েছে সরকার পতনে। দেশজুড়ে শত শত মানুষের মৃত্যুর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ভারত চলে গেছেন তিনি।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের আগেই আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা, আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রী দেশ ছাড়েন।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোথায়? জানা গেছে, শেখ হাসিনার একদিন আগেই পালিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সূত্র বলছে, ওবায়দুল কাদের রবিবার (৪ আগস্ট) রাতে দেশত্যাগ করেছেন। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুর রয়েছেন। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, ওবায়দুল কাদের বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন।
চলমান আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গত শনিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ফ্লাইট উড্ডয়ন করে। এই ফ্লাইটেই মেয়র তাপস সিঙ্গাপুরে যান।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানও রবিবার (৪ আগস্ট) রাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তিনি কোন দেশে গেছেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শায়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসানসহ আরও বেশ কিছু ছাত্রনেতা সোমবার (৫ আগস্ট) সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশত্যাগ করেছেন, তবে তিনি কোথায় গেছেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে তিনি ঢাকায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সোমবার রাজধানীর বনানীর বাসায় অবস্থান করেন। তবে এদিনই তার দেশত্যাগ করার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পুলিশের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়িয়ে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকেই নিজেদের বাসা বা সরকারি বাংলোতে না গিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ