নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ১৩ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর গর্ভবতী হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেয়ার প্রতিবাদে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেন্টারটি অবরোধ করে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুটি রবিবার বিকেলে পেটে ব্যাথা অনুভব করলে, ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় পরিারের লোকজন। আলট্রাসনোগ্রাফি ও প্রস্রাব পরীক্ষা করলে শিশুটি গর্ভবতী বলে রিপোর্ট দেন তারা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাকে অন্য আরো দু’টি ক্লিনিকে নিয়ে একই পরীক্ষা করে জানতে পারে মেয়েটি গর্ভবর্তী নয়।
মেয়েটির বড় বোন বলেন, আমার বোন ওই রিপোর্ট শুনার পর শুধু কান্না করেছে এবং কোনো খাওয়া দাওয়া করেনি। সে অস্বাভাবিক আচরণ করায় আমরা সারারাত তাকে পাহাড়া দিয়েছি। মেয়েটির নানী বলেন, পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ডিএনসি করার জন্য ক্লিনিকের লোকজন আমাদের কাছে সাড়ে তিন হাজার টাকাও চেয়েছে।
ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, ডাক্তার নেহারঞ্জন সাহা আলট্রাসনোগ্রাফি করেছে। আর প্যাথলোজি ট্যাকনোলোজিস্ট লক্ষন রায় প্রস্রাব পরীক্ষা করে গর্ভবতী হওয়ার রিপোর্ট দিয়েছে। ডাক্তার নেহারঞ্জন সাহা বলেন, হয়তো মেশিনের সমস্যার কারণে আলট্রাসনোগ্রাফির ভুল রিপোর্ট এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/ইমাম/দীপ্ত নিউজ