নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোন সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে। বিএনপি থেকে আসা শাহজাহান অনুপ্রবেশকারী নয়। গণতান্ত্রিক ভাবে সবাই নির্বাচন করতে পারবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারা যদি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যায় আমরা সেখানে বাধা দিতে পারবো না। আমাদের কাছে এখনো স্বতন্ত্র অথবা দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই তাদের নির্বাচন করতে গণতান্ত্রিকভাবে অধিকার আছে তারা করবে আমরা বাধা দিব না।
শাহজাহান ওমর জামিন পেয়ে পরদিন আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন। আর অন্য নেতারা এখনো জেলে আছেন। এটা কাকতালীয় কি না—এই প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অন্য যে নেতারা আছেন… এখানে অপরাধের সঙ্গে বিষয়টা তুলনা করতে হবে।’
নির্বাচনে দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড় দিচ্ছে—এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, অনুপ্রবেশকারী কারা চিহ্নিত করুন।
শাহজাহান ওমরকে পুলিশ হত্যা মামলা ও প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি জামিনে এসে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে উনি অনুপ্রবেশকারী কি না—এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনুপ্রবেশ তো জোর করে আসা। কিন্তু তিনি তো স্বেচ্ছায় এসেছেন। এখানে গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দল পরিবর্তন করা যায়। তিনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে এসেছেন। এটা কি অপরাধ?’
বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি উল্লেখ করে কাদের বলেন, জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দেয়ার জন্য তারা উন্মুখ হয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯ টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে।
সারা বাংলাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার জন্য মানুষের যে আগ্রহ চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করা যাবে না।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ভারত বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে: রিজভী
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ