রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের ১২ বছর আজ। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিচার এবং মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার চায় সংগঠনটি। অবশ্য এখনও জানা যায়নি হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা।
২০১৩ সালের ৫ মে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ও নারী নীতির বিরোধিতাসহ, কয়েকটি দাবিতে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে, কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করার ঘোষণা দেয় কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এই সংগঠন।
রাতে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই ঘটনায় ৬১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয় মানবাধিকার সংগঠন– অধিকার।
চব্বিশের অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর, শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলাম। দ্রুত এর নিষ্পত্তি চায় সংগঠনটি।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছে; সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।
মানবাধিকার সংগঠন– অধিকার বলছে, অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এখন সময়ের দাবি।
শাপলা চত্বরের সমাবেশে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সরকারি হিসাবে নিহত হয় ১_১ জন। তবে হেফাজতে ইসলামের দাবি, তাদের কয়েকশ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
আজিজুল ইসলাম/দীপ্ত সংবাদ