বাগেরহাটের শরণখোলায় মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে সেই মাংস বিক্রির অভিযোগে দুই সহদরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম।
রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে সেই মাংস বিক্রি করছিল এ চক্রটি।
স্থানীয়রা মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে জানায় প্রশাসনকে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে দুই সহদরকে আটক করা হয়।
এসময় তাদের অপর ভাই হালিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম (৩৫) ও আলামীন (৩৮)।
উপজেলা সদর রায়েন্দা পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল এই মরা গরুর মাংস। রমজান মাসে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার দাবি করছেন এলাকাবাসি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এর আগে বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা সুইন্স গেট এলাকা থেকে দুটি ড্রামে ভরা প্রায় এক মণ মাংস, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে।
তবে আটক ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদাভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। সে মাংস ফেলে পালিয়ে গেছে।
শরণখোলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে আটক দুই ব্যক্তি, গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামুন / আল / দীপ্ত সংবাদ