মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয় তবে তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টি হলেও বায়ুমানে তেমন উন্নতি হয়নি।
শনিবার (৪ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ১১৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১০তম। যা “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয়।
এ ছাড়া, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩১৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি শহর। আর ২১৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৬৭ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের স্কোর ১৫৮।
উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর‘, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর‘ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো– বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো– ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ