লুসাইলে প্রথম সেমিফাইনালে লড়াইটা আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়ার পাশাপাশি, লিওনেল মেসি বনাম লুকা মড্রিচের। ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিতে পারেন দুই দলের গোলরক্ষক মার্টিনেজ-লিভাকোভিচও।
ফুটবলের আসল লড়াইটাই হয় মাঝমাঠে। সেখানে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের দুই দলেরই প্রাণভোমরা তাদের মাঝমাঠে। আসরে চার গোল করে এরইমধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌঁড়ে এগিয়ে রেখেছেন লিওনেল মেসি। সঙ্গে দুটি গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি। তাকে ঘিরেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টাইনরা।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় তুরুপের তাস, লুকা মদ্রিচ। ৩৭ বছর বয়সেও মাঝমাঠে কতটা ভয়ঙ্কর এই তারকা, তার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত গোল বা সহায়তার খাতায় নাম তুলতে পারেননি। তবে তার নৈপুণ্যেই আসরের সেমিফাইনাল পর্যন্ত টিকে আছে ক্রোয়াটরা।
খেলা যদি গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে মূল ভূমিকা থাকে গোলরক্ষকদেরই। এমন দুজনকে বিশ্বকাপে নিয়ে এসেছে এই দুই দল, যারা এক হাতেই গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। এবারের আসরে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে, অনন্য নজির গড়েছেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। অনেকটা তার জন্যই টাইব্রেকারে জাপান আর ব্রাজিলকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
গোলবারে অতন্দ্র এই প্রহরী আর্জের্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজেরও। ডাচদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আলবি সেলেস্তেরা টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতে তার হাত ধরেই। শেষ চারেও এমন জাদুর প্রতিক্ষায় থাকবে তার দল।