সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪–০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা। ২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এ দিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩–০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫–২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
ম্যাচের ৫৪ ও ৫৬তম মিনিটে পরপর দুই গোল করে বার্সেলোনাকে হঠাৎ করেই চালকের আসনে বসিয়ে দেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৭৭ ও ৮৪তম মিনিটে আরও দুই গোল করে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন যথাক্রমে লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। অবশ্য আরও গোল পেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় অন্তত তিনটি গোল হাতছাড়া হয়েছে তাদের।
জোড়া গোলে লা লিগায় চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১৪ গোল হলো লেভানডোভস্কির। পিচিচির দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড় তার চেয়ে অনেক দূরে (৬)।
এদিকে, এল ক্লাসিকোতে এ দিন প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন লামিন। এর ফলে ক্লাসিকোয় সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার কীর্তি গড়েন ১৭ বছর ১০৬ দিন বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ।
আল/ দীপ্ত সংবাদ