ব্যাটিং দ্বৈন্যদশায় আয়ারল্যান্ডের কাছে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে হারলো বাংলাদেশ। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো স্বাগতিকরা। তাওহীদ হৃদয়ের হার না মানা ৮৩ রানের ইনিংসটা বাদ দিলে, বাকি ব্যাটাররা, ব্যস্ত ছিলেন উইকেটে আসা–যাওয়াতেই।
এটা বাংলাদেশ দলের স্কোরকার্ড। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৮২ রানের বিপরিতে চার টপ অর্ডার ব্যাটারের অসহায় আত্মসমর্পনের দৃশ্য দেখলো চট্টগ্রামবাসী। জিততে হলে ওভারপ্রতি করতে হবে ৯ দশমিক এক রান। সেই চাপটাই যেন নিতে পারলো না বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম আট বলেই তানজিম তামিম–লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে স্বাগতিকরা।
বলের সাথে পাল্লা দিয়ে যেন উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন, ইমন–সাইফরা। ১৮ রানে চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে, দলীয় সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে স্বাগতিকদের।
সেখান থেকে জাকের আলি–তাওহীদ হৃদয়ের ৩৪ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস, অন্তত সেই বিপদ থেকে রক্ষায় করে। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়নি।
ব্যক্তিগত ২০ রান করা জাকেরের বিদায়ে, আবারো ছন্দপতন শুরু, সেখান থেকে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি। বলার মতো ইনিংসটা খেলেন তাওহীদ হৃদয়, ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ঘরের মাঠে গত বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পায় বাংলাদেশ। আর ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের মাঠে ১৬০ রানের বেশি তাড়া করে জয় পেয়েছিলো টাইগাররা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এই দুটিই বলার মতো সাফল্য লাল–সবুজদের।
চট্টগ্রামের ইউকেটে বেশ খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বাজে বোলিংয়ের সুযোগে, টস হেরে আগে ব্যাট করে শক্ত ভিত গড়ে আয়ারল্যান্ড। মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনারদের পাশাপাশি দারুণ বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। তারপরও ১৮১ রানের সংগ্রহ গড়ে আইরিশরা।
মূলত ২২ গজের উইকেটে আধিপত্য নেন হ্যারি টেক্টর। টিকে থাকেন শেষ পর্যন্ত। পাঁচ ছক্কার অপরাজিত অর্ধশত রানের ইনিংসে দলকে এনে দেন বড় পুঁজি। ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মোহাম্মদ হাসিব/এজে/দীপ্ত সংবাদ