যে কোনো দেশ চাইলেই বাংলাদেশের সেন্ট্রালে ব্যাংকে টাকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে।
চীন সফরে দুই দেশের বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক আলোচনার জন্য এই সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল থাকছে। চীনে আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। বিশেষ করে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে যেসব শুল্ক বাধা আছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া অতীতের যেসব চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। চীনের সহযোগিতায় আমাদের পূর্ব উন্নয়ন ও চাইনিজ কমিউনিটি পার্টির সঙ্গে আলোচনাও চলমান থাকবে।
চীন থেকে আমরা কী পরিমাণ ঋণ পেতে পারি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফরে ঋণের বিষয়ে কোনো ফাংশন নেই। এ নিয়ে দু’দেশের আলোচনা হতে পারে। তবে, অফিসিয়াল প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে কোনো দেশ চাইলেই বাংলাদেশের সেন্ট্রালে ব্যাংকে টাকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ কার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত।
আল / দীপ্ত সংবাদ