বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির এবারের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় পেল ভারত। পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
দেখতে দেখতে প্রয়াণের চার বছর পেরিয়ে গেলো ফুটবল মহানায়ক দিয়েগো ম্যারাডোনার। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন আর্জেন্টাইন এ ফুটবল জাদুকর। ফুটবল ঈশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এখনো রয়ে গেছেন ভক্তদের হৃদয়ের মণিকোঠায়। স্মৃতিতে উজ্জ্বল, অমলিন হয়ে।
কারো কাছে বিদ্রোহী, কারো কাছে পরিচিত ফুটবলের ঈশ্বর। তাকে যেভাবে ডাকা হোক না কেন, তার পরিচয় একটি নামেই, আর সেটি দিয়াগো ম্যারাডোনা। কিংবদন্তীরা কখনো হারিয়ে যায়না। তেমনি ফুটবল জগতের ঈশ্বর দিয়াগো ম্যারাডোনা ফুটবল প্রেমিদের মণিকোঠায় আজেও অমলিন।
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মের পর আর্জেন্টিনার দক্ষিন প্রান্তের শহর ভিও ফিওরিতোতে কেটেছে শৈশব। ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আর্জেন্টিনোস জুনিয়রসের হয়ে ফুটবলে আগমন। বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় ম্যারাডোনাকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। ওই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোল করেন তিনি। একই ম্যাচে আরেকটি গোল করেন, যা ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ নামে পরিচিত। ১৯৯০ এর বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। তবে শিরোপা জেতা হয়নি। তার পায়ের জাদুতে বুদ হয়ে থাকতো পুরো বিশ্ব।
ল্যানুসের এই ম্যারাডোনাই বিশ্বকে মোহিত করেছেন মানবিক আচরণ দিয়ে, কখনো ফুটবলের সাহায্যে। তবে কখনো বিতর্কের কারণেও ছিলেন সবার চর্চায়। দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন করা।
ক্যারিয়ারে কোচিংও করিয়েছেন ম্যারাডোনা। ২০০৮ সালে ছিলেন মেসিদের কোচ। সেবার নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করে ২০১০ বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় ম্যারাডোনার দল।
হাসি-আনন্দে ব্যস্ত থাকা এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। তাকে হারানোর পর থেকে পৃথিবীতে বদল হয়েছে অনেক কিছুই। আর্জেন্টিনা তিন যুগ পর বুঝে পেয়েছে বিশ্বকাপের শিরোপা। তবে এখনো তার নাম রয়েছে ভক্তদের হৃদয়ে গাঁথা। ম্যারাডোনা পৃথিবীর মায়া ছাড়লেও ফুটবল মাঠে করা তার অনবদ্য কীর্তিগুলো তাকে আজন্ম বাঁচিয়ে রাখবে ফুটবল প্রেমিদের হৃদয়ে।