দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা পাঠানো আছে। এছাড়া মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত খালি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ২০ লাখ নগদ টাকা ও ২০০ টন চাল এবং ১৪ টন বিস্কুট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূলত আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০–৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আরও বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
এমি/দীপ্ত সংবাদ