ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি । আক্ষেপ বলতে শুধু ছিল বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা। কারিয়েরের শেষ লগ্নে এসে সেটির আক্ষেপও মিটিয়েছেন ফুটবলের এই জাদুকর।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল শেষে দেখা গেছে মেসির মুখে হাসি। এর আগে কত কথা হয়েছে মেসিকে নিয়ে, বিশ্বকাপ ট্রফি না পেলে কিংবদন্তি হওয়া যায় না। কত অপমান, কত গ্লানি, কত অবহেলা সবকিছু ছাপিয়ে মেসির সাফল্যের পালকে যুক্ত হলো বিশ্বকাপ ট্রফি নামক সোনার হরিণ।
আর এই ট্রফি জয়ে মেসি যেন ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। জায়গা করে নিয়েছেন পেলে-ম্যারাডোনাদের পাশে। এবার দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের শাসক ঘোষণা করেছেন।
গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাতে কনমেবলের সদর দপ্তরে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র। এই আয়োজনের সময়েই বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এই আয়োজনে মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দিয়ে কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার হাতে তুলে দিলাম।’
এর আগে মেসি নিজেই তার ভাস্কর্য উন্মোচন করেন, যা থাকবে কনমেবলের জাদুঘরে পেলে ও ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এত ভালোবাসা পাচ্ছি। এটা সত্যিই অনেক বড় কিছু। আমি কখনও এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি। ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল–আমি যেটা পছন্দ করি, শুধু সেটা উপভোগ করা। একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এই জীবনটাই আমি সব সময় ভালোবেসেছি। আমি সব সময় উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। এটা জানতাম, আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’
আল/দীপ্ত