গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পারিবারিক বিষয়ে বাবা ও মায়ের ঝগড়ায় বাধা দেয়ায় মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে জবাই করে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাবা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হরিনহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃষ্টি আক্তার (১৩) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর গ্রামের বুলু মণ্ডলের মেয়ে। বাবা ও মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বসবাস করে চন্দ্রা আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা বুলু মণ্ডল ও তার মা সুমা আক্তারের ঝগড়া হয়। দুজনকে ঝগড়া করতে নিষেধ করে মেয়ে বৃষ্টি আক্তার। বাবা বৃষ্টিকে ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর বুলু মণ্ডল তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের পেটে কয়েকটি আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে নিয়ে বিষপান, মায়ের মৃত্যু
পরিবারের সদস্যরা নিহত বৃষ্টি আক্তার এবং বুলু মণ্ডলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক বৃষ্টি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। বুলু মণ্ডলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠায়। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বৃষ্টি আক্তারের নানি রাজিয়া বেগম জানান, বুলু মণ্ডল বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বুলু মণ্ডল তার বাবা ও ভাইয়ের কথায় বিয়ের পর থেকে পরিবারে অশান্তি করে আসছিল। বুধবার জামাই ও মেয়ের ঝগড়া হয়। নাতি তাদের বাধা দেয়। পরে বুলু মণ্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে বৃষ্টি আক্তারকে খুন করে।
কালিয়াকৈর থানার উপ–পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। বুলুকে চিকিৎসার জন্য এনাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জাহাঙ্গীর আলম/এজে/দীপ্ত সংবাদ