রাজধানী ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, রবিবার রাত ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ, নতুন আইলপাড়া এলাকায় বায়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত আবুল কালাম (৩৫) ইশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত জলিল চোকদারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে রাজধানীর একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ, আইলপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সন্তানরা এখনো বুঝতে পারেনি, তাদের বাবা আর ফিরবে না। ওরা বলে, ‘বাবা ঘুমাচ্ছে মা, তুমি কান্না করোনা।’ আমি কীভাবে ওদের বোঝাই যে, ওদের বাবা আর কখনো জাগবে না!
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট এলাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) ভবনের সামনে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম (৫০) নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুই জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেট এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল লাইনের নিচে উড়াল পথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়াল পথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এসএ