মুন্সীগঞ্জের সীমানাধীন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার ( ৭ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই নারীর নাম সুমনা (২৮)। সে গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী। এদিকে ট্রলার ডুবি ঘটনায় নিহত সুমনার দুই মেয়ে ও তার ভাই–ভাগিনাসহ আরও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন– তার দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬), জান্নাতুল ফেদৌস (৩), তার ভাই সাব্বির হোসেন (৪২), ভাগিনা ইমাত হোসেন (২) ও ননদ মারওয়া (৬)।
এ দিকে সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে বিআইডাব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং নৌ–পুলিশ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সীমানাধীন নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ খেয়াঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলার চালকসহ ১২ জন যাত্রী ছিল। এরমধ্যে ছয়জনকে ঘটনার দিন শুক্রবার জীবিত করা উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন, সিপা মনি (৬), মফিজুল ইসলাম (৪০), রিয়াদ হোসেন (২১), তাহিয়া (১০) আকলিমা (৪২) ও ট্রলার চালক রফিকুল ইসলামকে (৪০)।
ঘটনার পরে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিটিএ ঘটনাস্থলে এসেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ–সহকারী পরিচালক মোস্তফা মহসিন জানান, সকালে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলবে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে অভিযান পরিচালনা ব্যহত হচ্ছে।
মো. কায়সার হামিদ/শায়লা/দীপ্ত নিউজ