ফেনীতে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৮২৫ হেক্টর আমনের জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে৷ বাঁধভাঙা পানিতে অন্তত ৩ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, সহসাই পানি না নামলে এসব জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও জেলায় ১০ হেক্টর আমন বীজ তলা ও ১৫ হেক্টর সবজি খেত পানিতে ডুবে আছে৷
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সর্বশেষ বিকেলে পাওয়া তথ্যমতে পানি বিপদ সীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরামের মোট ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
পরশুরামের মৎস্য চাষী আকবর হোসেন জানান, ৩টি পুকুরে অন্তত ১০ লাখ টাকার পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ ছিলো। বাঁধভাঙা পানিতে পুকুর ভেসে চোখের সামনেই সব মাছ চলে গেছে। কিভাবে খাদ্যের ডিলারদের টাকা পরিশোধ করবো জানি না।
ফুলগাজীর কৃষক মহসিন মিয়া বলেন, জুলাই মাসে ২ একর জমিতে আমন চারা চাষ করেছিলাম, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও বাঁধভাঙা পানিতে আমাদের স্বপ্ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে৷
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া ও পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ জানান, দুই উপজেলায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। বানবাসি মানুষদের জন্য শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, উজানে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি বন্ধ হলে এদিকেও প্লাবন বন্ধ হয়ে যাবে।
ফুলগাজীতে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান৷ তিনি বন্যা উপদ্রুত এলাকা ঘুরে শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন ।
পুলিশ সুপার বলেন, দান কিংবা ত্রাণ নয়, মানবিক দিক বিবেচনায় করেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে পুলিশ৷
এসএ/দীপ্ত নিউজ