১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী, খুনি ও ফ্যাসিস্ট একটি দল। জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে তারা দুই হাজার মানুষকে খুন করেছে। ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু করেছে।
শুক্রবার (১০ মে) বিকালে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৭ বছরে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ৭০০ মানুষকে খুন করেছে। সাড়ে চার হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। ১৭ বছরে ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবী মামলা করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই ইনশাআল্লাহ।
তিনি কবি হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, আমরা ভিরু কাপুরুষের উপমা হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আস্ফালন করুক দেশের সংবিধান ও আইনের হাত অনেক লম্বা। আর তাদের বিচার করার জন্যই এখনো লক্ষ কোটি জনতা রাজপথে আছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে গুম, হত্যা ও খুনের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে কোথাও একটি মানুষও গুম হয়নি। কোন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে গায়েবী মামলা করেনি। গত ১৭ বছর বিএনপি–জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় আমরা দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
জুলাই বিপ্লবের শহিদ ও আহতদের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার করা না গেলে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, ইয়ামিন ও শিশু আনাসের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। জুলাই বিপ্লবের_ শহিদদের বিচার করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ের কথা ভাবছে সরকার। সেই আইনে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের খুনীদের বিচার করে বাংলাদেশ কে কলঙ্ক মুক্ত করা হবে।
শাহরিয়ার আলম সোহাগ/এজে/দীপ্ত সংবাদ