দীর্ঘ ২ মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হলো মিরপুর–১০ মেট্রো স্টেশন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের উপস্থিতিতে মেরামত হওয়া স্টেশনটি পুনরায় চালু করা হয়।
উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা জানান, মিরপুর–১০ স্টেশন মেরামত ও যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খরচের পুরো অর্থ মেট্রোরেলের ফান্ড থেকেই নেয়া হয়েছে, সরকারি তহবিল থেকে এক টাকাও নেয়া হয়নি। ভবিষ্যতে মেট্রোরেলের অন্যান্য স্টেশন মেরামতে আরও ১৭ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে মেরামতে ব্যয় হবে মোট ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মেট্রো স্টেশনের ভাঙচুরে ছাত্রদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ আইজিপিকে হস্তান্তর করা হয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে কোথায় অপচয় হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোতে অপচয় রোধ করে সময়মতো বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মিরপুর–১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর স্টেশন দুটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ আগস্ট মেট্রোরেলের চলাচল পুনরায় শুরু হয়। তবে মিরপুর–১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। এর ২৬ দিন পর কাজীপাড়া স্টেশন পুনরায় চালু হয় এবং ২ মাস ১৭ দিনের মাথায় চালু হলো মিরপুর–১০ স্টেশন।
এর আগে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, স্টেশন দুটি পুনরায় চালু করতে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে এবং প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং মিরপুর–১০ স্টেশন মেরামতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করেই মিরপুর–১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। কোনো সরঞ্জাম আমদানি করতে হয়নি, ফলে ব্যয়ও কম হয়েছে।