বাংলাদেশে মিতসুবিশির মেরিন ইঞ্জিন বাজারজাত শুরু করেছে এসিআই লিমিটেড। শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের মেরিন ইঞ্জিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এসিআই কোম্পানি ৩৭৮ কিলোওয়াট থেকে ২০০০ কিলোওয়াট রেঞ্জের মধ্যে মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিন বাজারজাত করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসিআই কোম্পানি ভবিষ্যতে ড্রেজিং, পরিবহন, নদী ব্যবস্থাপনা ও উচ্চ প্রযুক্তিগত নেভিগেশনাল সরঞ্জামের ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। এজন্য এসিআই মেরিন অ্যান্ড রিভেরাইন টেকনোলজিস লিমিটেড মিতসুবিশি মেরিন ইঞ্জিন বাজারজাত শুরু করেছে।
যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্রগামী জাহাজ, ড্রেজার, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজ, বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নির্মাণ, যন্ত্রপাতি, পাম্প স্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে। এর নৌপথ শুধু মালবাহী এবং যাত্রীদের অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্যই নয় চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি, রফতানি ও পণ্য পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এশিয়া বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ভৌগোলিকভাবে এটি বঙ্গোপসাগরের কিনারায় হওয়ায় এটাকে ওয়াটার কান্ট্রিও বলা যায়। নদীপথের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক কারণে আমরা বিশ্বাস করি মেরিন ইঞ্জিন দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে আরো বেশি বেশি ভূমিকা রাখবে।’
এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা বলেন, ‘দেশের কৃষি খাত, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রাক্টর, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল, দেশ এবং দেশের বাইরে আমাদের কাজ করার দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এসবের সবগুলোই নানাভাবে আমাদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে।’
বিশেষ অতিথির বিআইডব্লিউটিএর (প্রকৌশল) সদস্য ড. এ কে এম মতিউর রহমান বলেন, ‘এসিআইয়ের এ উদ্যোগে বিআইডব্লিউটিএর জন্য একটি সুখবর। আমাদের এখানকার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম খুবই স্বল্পমূল্যে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু নদীর নাব্যতা হারানো, পানিদূষণের মতো বিষয়গুলো আমাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমাদের নদীপথগুলোর আধুনিকায়ন, নাব্যতা সংকট কমানোর চেষ্টা করছি।’
অনু/দীপ্ত সংবাদ