মাদকের মামলায় ১৫ বছরের সাজা পাওয়া পুলিশের বরখাস্ত পলাতক কর্মকর্তা ফেনীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতে শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠায়। মঙ্গলবার ( ২৮ মার্চ ) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন কক্সবাজার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন (৪০)। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন মতিন মেম্বারের বাড়ির বাসিন্দা। গত ৬ মার্চ মাদকের মামলায় বিল্লালসহ ১৩ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে মো. বিল্লাল হোসেনসহ ৬ জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআই মাহফুজুর রহমান ও তাঁর গাড়িচালক জাবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। এ ঘটনায় র্যাবের নায়েক সুবেদার মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় চারজনের নামে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৫ মে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তৎকালীন সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ। মামলা চলাকালেই রুবেল সরকার নামের একজন আসামি মারা যান।
ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি দ্বিজেন্দ্র লাল কংশ বনিক বরখাস্ত এসআই বিল্লালকে কারা পুলিশের মাধ্যমে হাজতে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এসআই বিল্লাল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ফেনী কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আল/দীপ্ত