মাগুরায় কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে ৩ ফিট উচ্চতার দুইটি গরু। গরু দুটিকে এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় করছেন হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতারা। প্রথমবারের মতো স্বচক্ষে এত ছোট্ট গরু দেখে অনেকেই ছবি তুলছেন তার সঙ্গে। কেউবা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে দেখানোর জন্য।
প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের এক একটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মাগুরায় এবছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার খামারী কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রায় ৮০ হাজার গবাদি পশু ( ৭৯ হাজার ৩১২ টি)। যার মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ও মহিষ। যেখানে জেলার চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। উদ্বৃত্ত পশু গুলো পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। জেলার মধ্যে কোরবানি পশু বিক্রি করার জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে প্রায় ১৪ টি হাট রয়েছে।
হাট গুলোতে প্রায় প্রতিদিনই জমজমাট পশু বিক্রি চলছে। এ সকল হাটগুলোতে ওঠা গরু ছাগলের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর ইটখোলা এলাকায় অবস্থিত মাগুরা আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠা অস্থায়ী পশুর হাটে বার্মিজ ও দেশি জাতের ৩ ফুট উচ্চতার দুইটি গরু। যে গরু দুটি দেখতে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছে হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা। অনেকেই মাগুরাতে এই প্রথম স্বচক্ষে দেখা এত ছোট সাইজের গরু দেখে তার সঙ্গে তুলেছেন ছবি।
৩ ফিট উচ্চতার গরুর দুটির ওজন ৩৫ কেজি করে হবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। প্রতিটি গরুর দাম হাঁটা হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
গরু বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার আবালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর গরু বিক্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ছয় মাস আগে বার্মা গিয়েছিলাম মহিষ কেনার জন্য। সেখানে বারমা জাতের এই (এড়ে) গরুটি ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে আসি। তখন তারা বলেছিল এটি দুই দাঁতের এবং এর বয়স ২ বছর। আমি ছয় মাস লালন পালন করার মাঝে আরো দুটি দাঁত পড়েছে এখন এটি চার দাঁতের। এছাড়া আমার বাড়িতে লালন পালন করা আরো একটি দেশি জাতের (বাকনা) গরু রয়েছে যেটির উচ্চতা ৩ ফিট। দুটি গরুর এক একটিতে প্রায় ৩৫ কেজি মাংস হবে। এক একটা গরুর দাম চাচ্ছি ৬৫ হাজার টাকা। তবে দাম মনের মত হলে দুটো গরুই বিক্রি করে দিব।
হাটে গরু কিনতে আসা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে স্বচক্ষে এত ছোট গরু দেখা হয়নি। এই প্রথম ছোট গরু দেখলাম । যে কারণে ছবি তোলার লোভ না সামলাতে পেরে তার সঙ্গে কয়েকটি ছবি তুলে রাখলাম।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। সেখানে জেলায় কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে ৭৯ হাজার ৩১২টির উপরে।
খামারীরা যাতে তাদের প্রস্তুতকৃত কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে সেজন্য জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা।
কাশেমুর শ্রাবণ / আল/দীপ্ত সংবাদ