মাগুরায় পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় অভিক বাহাদুর (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী ও পারুল খাতুন (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা সদরের ফরিদপুর মাগুরা সড়কে কেষ্টপুর এলাকায় বন্ধুর সাথে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে অভিক বাহাদুরের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালি গ্রামে মোটরসাইকেল–ড্রাম ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে পারুল খাতুন এর মৃত্যু হয়।
নিহত অভিক বাহাদুর মাগুরা সদরের বেলনগর গ্রামের মিলন ফকিরের ছেলে। এছাড়া নিহত পারুল মন্ডলগাতি গ্রামের শহিদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী।
আহত অভিক বাহাদুরের বন্ধু আরাফাত ও পারুলের স্বামী শহিদুল ইসলাম সুমনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গৌতম চন্দ্র মন্ডল বলেন, অভিক বাহাদুর তার বন্ধু আরাফাতের সঙ্গে হাইওয়ে রোডে মোটরসাইকেল চালানো শিখছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে থাকা একটি পিলারে ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে অভিক কে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। অবশ্য অভিকের বন্ধু আরাফাতের দাবি গাড়ি চালানোর সময় পুলিশ তাদের গাড়িটি থামাতে বললে তাদের ভয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটার দিকে শহরে ভাড়া বাসাতে থাকা মাগুরা জেলা জর্জ কোর্টে পেশকার শহিদুল ইসলাম সুমন রাতে তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি মন্ডলগাতী যাচ্ছিল। পথে
খলিশাখালি গোরস্থানের কাছে যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয় পারুল । স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুলের মৃত্যু হয়। নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম সুমনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বোরহান উল ইসলাম বলেন, নিযহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে দুর্ঘটনার পর ড্রাম ট্রাক ও এর চালককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রাবণ/ আল/ দীপ্ত সংবাদ