গত এক দশকে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ধান রোপন থেকে শুরু করে কর্তন এবং ঘরে তোলা পর্যন্ত সবখানেই এখন ব্যবহার হচ্ছে প্রযুক্তি। এতে করে ফসল উৎপাদনে সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় এ বছর ৩৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্র বিপরীতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ধান কাটার শুরুতেই বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়ে কৃষক। একসঙ্গে সকল ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিক সংকটে পড়তে হয় তাদের। এমন পরিস্থিতিতে রিপার এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টারের ব্যবহার কৃষকের কাজকে সহজ করে তোলে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় ৩৬টি রিপার এবং ৩০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার হচ্ছে। ৫০ শতাংশ সরকারি প্রনোদনায় পাওয়া এসব রিপার এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টার থেকে সুফল পাওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি প্রনোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মালিক মোঃ মশিউর রহমান জানান, মাঠ সমতল হলে একটা মেশিন দ্বারা ঘন্টায় প্রায় দেড় একর জমির ধান কাটা সম্ভব।
জায়গা বুঝে কোথাও এক একর জমির ধান কাটতে ৫ হাজার কোথাও ৪ হাজার বা কোথাও সাড়ে তিন হাজার টাকা নেয়া হয়। তিনি আরো জানান শ্রমিক দিয়ে দিয়ে ধান কাটতে গেলে সময় ও অর্থ দুইটাই বেশি লাগে। কিন্তু এই মেশিনের মাধ্যমে ধান কর্তন করা হলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
কৃষক মিলন হোসেন বলেন, মেশিন দিয়ে ধান কাটালে বিচালির (খড়) অনেকটা ক্ষতি হয়। তবুও সামনে যেহেতু দুর্যোগের সময় মাঝেমাঝে বৃষ্টি হচ্ছে যে কারণে মেশিন দিয়ে প্রায় চার একর জমির ধান কাটিয়ে নিলাম। কেননা এখন সকল মাঠে একসঙ্গে ধান পেকে যাওয়ায় শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া মেশিন দিয়ে ধান কাটলে ধান মাড়াই এর ঝামেলা থাকে না, একবারে মেশিন থেকেই ধান বস্তা ভরে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যায়।
যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টি হতে পারে যে কারণে কৃষকদেরকে ধান কাটার মেশিন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।
আফ/দীপ্ত সংবাদ