রাজধানী উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী আইমান (১০) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুরে বাদ এশা নিহতের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাদা মাজেদ হাওলাদার এর পাশে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক ও শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সুত্রে যানা যায়, আয়মান শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর এলাকায় বাপ্পি হাওলাদার ও আয়েশা খানম দম্পতির মেয়ে। বাপ্পি হাওলাদার ব্যবসার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আয়মান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
মেয়েকে কবরে শায়িত করে বাবা ইসমাইল হোসেন বাপ্পি আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আমি আমার মাকে ছাড়া কীভাবে থাকব! আমার মা আমাকে ছাড়া একা অন্ধকার কবরে কীভাবে থাকবে?
আয়মানের চাচাতো ভাই মাহাতাজ হাওলাদার বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় আয়মানের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। সে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শুক্রবার সকালে আয়মানের মৃত্যুর খবর পাই। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা শেষে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাজেদ হাওলাদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। আয়মানের মৃত্যুতে তার মা–বাবাসহ আমরা সবাই শোকাহত। এমন করুণ মৃত্যু আর কোনো শিশুর যেন না হয়।
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের মা এবং বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়–স্বজন পাড়া প্রতিবেশী এক নজর দেখার জন্য ভিড় জম
এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের প্রশিক্ষণ বিমান লোকালয় উড়ানো ঠিক হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সতর্কতা থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।
নিহত আয়মানের সজন বলেন, তার মা ,বাবার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বানাবে। সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। নিহত আয়মান বাবা ইসমাইল হোসেন বাপ্পি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
আল