মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় নয়াডিঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত তারাসিমা এ্যাপারেলস লিমিটেড নামের শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে আট হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেন। শুধুমাত্র কর্মীদের পরিবহনে কারখানাটির সামনে মহাসড়কের পাশে দেড়শোর মতো যানবাহন অপেক্ষা করে।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ৮ ও সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এসব যানবাহন কর্মী আনা নেওয়া করে। আর এই দুই সময়ে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় কর্মী পরিবহন গাড়ির জটে মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের যাত্রী ও শ্রমিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এদিকে মহাসড়কের যানজট ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করায় তারাসিমা এ্যাপারেলস লিমিটেডকে নোটিশ করে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগ। তারপরও মহাসড়কে যানজট নিরসনে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানায়, অফিস শুরু ও শেষ হওয়ার সময় বেআইনীভাবে মহাসড়কের উপরে এবং সোল্ডারসহ মহাসড়কের জায়গা ব্যবহার করে যানজট ও দূর্ভোগ সৃষ্টি করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে নোটিশ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে মহাসড়কের উপর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকা, স্টাফ উঠানামা, মালামাল পরিবহনে গাড়ি পার্কিং করা ইত্যাদি কার্যক্রম বন্ধসহ অবৈধ্য দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
ঢাকাগামী ট্রাক চালক রুস্তম মোল্লা বলেন, ‘ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে মালামাল নিয়ে প্রায় যাওয়া আসা করি। চেষ্টা করি অন্তত সন্ধ্যা সাতটার দিকে যেন তারাসিমার সামনে না পড়তে হয়। কারণ এ অংশে মাঝে মাঝেই কর্মী পরিবহন গাড়ির যানজট তৈরি হয়।’
শিক্ষক আবু ফাহাদ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের হাজারো শ্রমিক পরিবহনের জন্য কারখানাটি অন্য একটি জায়গা ব্যবহার করলে মহাসড়কে জট হতো না। গাড়িগুলো মহাসড়কের পাশে থাকায় সেখানেই কর্মী উঠানামা করায় জট লাগে। ফলে আমাদের ভোগান্তি বাড়ে।’
তারাসিমা এ্যাপারেলস লিমিটেডের ম্যানেজার (লোকাল ইস্যু) মোখসেদুর রহমান বলেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক পরিবহন গাড়ি দিয়ে কর্মী পরিবহন করা হতো। এখন যেসকল যানবাহন কর্মী পরিবহন করে সেগুলোর সাথে প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা নেই। এ সকল যানবাহনের কারণে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহনগুলোকেও সমস্যায় পড়তে হয়।
মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস উল হাসান মারুফ বলেন, তারাসিমা এ্যাপারেলস লিমিটেডের সামনের অংশটুকু সড়ক বিভাগের জায়গা। ওই অংশে কর্মী উঠানামাসহ প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহনের যানবাহনের কারণে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিশ করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকেন্দ বসু বলেন, মহাসড়কে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তারাসিমার সামনে ওই অংশের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহিদুল হক/আল/দীপ্ত সংবাদ