সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর লুট ও বহন অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যাক্তিরা হলেন– কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কালাইরাগ গ্রামের মৃত সিকন্দর আলী ছেলে মোহাম্মদ কামাল মিয়া (পিচ্চি কামাল), কালাইরাগ গ্রামের কামাল মিয়া ছেলে মো. আবু সাঈদ, নাজিরেরগাও গ্রামের মৃত মনফর আলী ছেলে মো. আবুল কালাম, লাছুখাল গ্রামের শহীদ মিয়া ছেলে ইমান আলী ও জাহাঙ্গীর আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইমান আলী ও জাহাঙ্গীর‘কে পাথরভর্তি ট্রাকসহ আটক করা হয়। অন্যদের পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এর আগে, শুক্রবার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) মহা–পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা এজাহারে বলা হয়, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকা শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, এটি একটি সরকারি গেজেটভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পাথর কোয়ারি। কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ এবং অননুমোদিতভাবে কোটি টাকার পাথর লুটপাট করছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এ ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২–এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২–এর বিধি ৯৩(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধি, ১৮৬০–এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও সংঘটিত হয়েছে। পুলিশকে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেট থেকে লুট হওয়া আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এক বছরে সিলেট থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি।
এসএ