বুধবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৫
বুধবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৫

ভোলা–বরিশাল সেতুর দাবিতে লংমার্চ, আহত ২

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ভোলা–বরিশাল নৌরুটে সেতু নির্মাণের দাবিতে ঢাকামুখী লংমার্চে অংশ নেওয়া একদল তরুণ পদ্মা সেতু দিয়ে হাঁটা অবস্থায় পার হওয়ার অনুমতি না পেয়ে নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বুধবার( ১৯ নভেম্বর) বিকালে এ ঘটনার সময় দুই লংমার্চকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লংমার্চকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর অভাবে ভোলার মানুষ নৌরুটের ভোগান্তি সহ্য করে আসছেন। বিশেষ করে জরুরি রোগী বরিশালে নিতে না পারার মতো সংকট তাদের গভীর সমস্যায় ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার আবেদন জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

গত ১১ নভেম্বর ভোলার চরফ্যাশন টাওয়ার থেকে ২০ জন তরুণ ঢাকার সেতুভবন অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন। অষ্টম দিনে তারা শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছান। কিন্তু পদ্মা সেতুতে হাঁটার অনুমতি না মেলায় তারা নদী সাঁতরে পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১০ জন সাঁতরে নামার পর কিছু দূর গিয়ে নোমান হাওলাদার ও তানজিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে শিবচরের পাচ্চর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লংমার্চকারী নোমান হাওলাদার বলেন, “তিন মাস আগে মন্ত্রণালয়ে আলোচনায় আমাদের পাঁচ দফা দাবি গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতদিনেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সামনে নির্বাচন, তাই সময় থাকা অবস্থায় কাজ শুরু করার দাবি জানাতেই আমরা রাস্তায় নেমেছি।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদে আমরা ইতোমধ্যে তিনটি নদী পেরিয়েছি। পদ্মা পার হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে সহযোদ্ধাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়লে তার দায় সরকারেরই।”

গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন বলেন, “পদ্মা সেতু দিয়ে হেঁটে পার হওয়ার অনুমতি না পেয়ে দলের কয়েকজন সাঁতরে নেমেছেন। তারা এখনো নদী পাড় হয়ে মুন্সিগঞ্জে পৌঁছাতে পারেননি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নেবেন।

রুপম

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More