লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ১৭ বাংলাদেশিসহ ৪৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর নৌকাডুবির ঘটনায় ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যম এএনএসএ’র বলা হয়, বাংলাদেশি ১৭ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উপকূলে এনে সিসিলি দ্বীপের পোজালো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সেখানে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা সম্পর্কিত এএনএসএ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত রবিবার খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ৪৭ অভিবাসী বহনকারী নৌকাটি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, নৌকার ইতালির কোস্টগার্ড ধারণা করছে, ভূমধ্যসাগরে ৩০ অভিবাসী ডুবে গেছে।
অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা অভিযোগ করে বলেছে, ‘দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর ওই নৌকা থেকে গত শনিবার কেউ একজন আমাদের ফোন করেছিল। আমরা বিষয়টি বারবার ইতালির কোস্ট গার্ডকে জানালেও তারা সময়মতো উদ্ধারকর্মীদের সেখানে পাঠায়নি।’
ইতালির উপকূলরক্ষীরা বলেছে, নৌকাডুবির ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সীমানার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, নৌকাডুবি এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে ইতালির কর্তৃপক্ষ।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, ‘নৌকাডুবি এড়াতে রোমের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। আমরা সবসময় বলে আসছি, সমুদ্রে চলাচলের অযোগ্য জলযান প্রস্থান অর্থাৎ ডিপারচার বন্ধ করা প্রয়োজন। আমার কাছে মনে হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, আমাদের নৌবাহিনী এবং আমাদের ফিনান্স পুলিশ যা করছে তা প্রশংসার যোগ্য।’
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ক্যালাব্রিয়ার দক্ষিণ অঞ্চল কাছাকাছি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ