মহান ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক, বিশিষ্ট লেখক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ছেলে সাংবাদিক তারেক আল বান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী সদর উপজেলার (তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা) খানগঞ্জ ইউনিয়নের খোর্দ্দদাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী ও মায়ের নাম শুকুরুন্নেসা খাতুন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯৪৫ সালে স্থানীয় মইজুদ্দিন হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৪৭ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে স্ট্যান্ড করা ছাত্র আবদুল গফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে। এ সময় এর প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের সঙ্গে অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলন আবদুল গফুর।
আবদুল গফুর ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
অত্যন্ত সাদা মনের গুণী মানুষ অধ্যাপক আবদুল গফুর দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি দৈনিক মিল্লাত, দৈনিক আজাদ, দৈনিক দেশ, দৈনিক ইনকিলাব, ইংরেজী দৈনিক পিপল, দৈনিক নাজাত প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করেছেন।
আল/ দীপ্ত সংবাদ