নাটকীয়তার পর অবশেষে হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টুর্নামেন্টের দশটি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে আর বাকি ম্যাচগুলো অথ্যাৎ ম্যান ইন ব্লু‘দের খেলা হবে দুবাই।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তেমনই খবর সামনে এনেছে দুই বিবাদমান দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নিজ নিজ গণমাধ্যম।
ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ বিষয়ে সমঝোতায় এসেছে বলে খবর দিয়েছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর বলছে, বিসিসিআই ভারত ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে না পাঠানো এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ দুবাইয়ে খেলতে চাওয়ার বিনিময়ে পিসিবি পাকিস্তান দলের ভারতে না যাওয়ার যে শর্ত দিয়েছে, ২০২৭ পর্যন্ত তা মেনে নিচ্ছে আইসিসি। ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। এই টুর্নামেন্টে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচসহ পাকিস্তানের সব ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কা।
এছাড়া আগামী বছরের সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ভারতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে, এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজনের জন্য বিকল্প ভেন্যু নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অবশ্য এই খবরে নতুন অন্য তথ্য যোগ করেছে। তারা বলছে, ২০২৭–৩১ সময়ে পাকিস্তানকে মেয়েদের একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগও দেওয়া হবে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কিছু ম্যাচ দুবাই আয়োজন করার কারণে বিশেষভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে না পিসিবি।
অবশ্য, এত নাটকীয়তার মাঝেও হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আয়োজক স্বত্ব থাকবে পিসিবি।
আরব আমিরাতে হবে ভারতের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ, একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। আর এক সেমিফাইনালসহ মোট ১০ ম্যাচ আয়োজন করবে পাকিস্তান। অবশ্য ভারত যদি সেমিফাইনালে বা ফাইনালে না ওঠে, সে ক্ষেত্রে এই দুটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজিত হতে পারে বলেও আলোচনা আছে।
৮ দলের টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান আছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে লড়বে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। প্রাথমিক সূচি অনুসারে, ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ শেষ হবে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার পাকিস্তান আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে লাহোরে ক্রিকেটারদের ওপর হামলার পর দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি পাকিস্তান।
এসএ