বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫
বুধবার, অক্টোবর ১, ২০২৫

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত মাস ধরে এ রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন এই তারকা। বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

বুধবার (০১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তার ছেলে ও নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন জয়।

কানাডা থেকে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি তার বাবার অসুস্থতার বিষয়টি জানান এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

মিরাজুল মইন জয় জানান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গত ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং থেকে এখন পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করছেন। দীর্ঘ এই সময় তার লন্ডনে অবস্থান একমাত্র চিকিৎসাজনিত কারণে। তিনি এ বছরের শুরুতে শারীরিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা গত ০৯ এপ্রিল তারিখ ঢাকার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা পরীক্ষানিরীক্ষার পর তার মাথার এমআরআই করা হয়। ২ দিন পরে রিপোর্টের ফলাফল জানা যায় তার মাথায় টিউমার হয়েছে।

তিনি বলেন, অবশ্য আগে থেকেই তিনি কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতেন। অনেক কিছু মনে করতে কষ্ট হতো। এমআরআই রিপোর্টে জানা গেল টিউমারজনিত কারণে এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। এই রিপোর্ট নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিউট অফ নিউরোসাইন্সএ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তারগণ একটি বোর্ড গঠন করে মতামত দেন তার মাথায় অপারেশন করা ক্রিটিক্যাল হবে। কারণ টিউমারটি ব্রেনের অনেক গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে। ডাক্তারদের এই মতামত জানার পরে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত কাগজপত্র ঠিক করে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জারি ডাক্তারের অধীনে নেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস নানা পরীক্ষানিরীক্ষার পরে গত ০৫ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখ লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তার মাথায় অস্ত্রপচার করা হয়।

জয় আরও বলেন, ডাক্তারগণ অপারেশনের পূর্বে জানিয়েছেন পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। এতে জীবনহানিসহ প্যারালাইসড হয়ে চলনশক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। ডাক্তারের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে টিউমারটির কিছু অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেন তার পরিবার। ডাক্তার জানিয়েছেন বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হবে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দিতে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ০৬ সপ্তাহ চলবে এই রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির কাজ।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More