ব্রিটেনের মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সের রয়েল মেরিনে পরিবেশ-স্বাস্থ্য-অগ্নিনিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী সুশান্ত দাস গুপ্ত। সুশান্ত ব্রিটিশ আর্মির একজন ক্যাডেট ইন্সট্রাকটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন পদে স্থলাভিষক্ত হন তিনি। সুশান্ত দাস গুপ্ত হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। এরপর যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করার পর দীর্ঘদিন টেকশেড নামক একটি ইঞ্জিনিয়ার ফার্ম পরিচালনা করেন।
পেশাগত জীবনে সুশান্ত আমেরিকান অ্যাসোসিয়েসন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব বিল্ডিং, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং ইনস্টিটিউট অব অকুপেশনাল হেলথ-এর সদস্য। ব্যক্তিজীবনে দুই কন্যার জনক এবং ২০০৬ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সুশান্ত দাসগুপ্ত এক সুপরিচিত নাম। তিনি “আমার এমপি” সামাজিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যেকার সেতুবন্ধন নিশ্চিতকরার জন্য তৈরী করেছেন ডিজিটাল প্লাটফর্ম www.amarmp.com ও www.amarprotinidhi.org এসব ডিজিটাল মাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছে সকল জনগণ। প্রতিষ্ঠার পরপরই একাধিক আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও তিনি হবিগঞ্জ জেলার আলোচিত ও জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমার হবিগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছেন।
নিয়োগ প্রসঙ্গে সুশান্ত দাসগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। আমাদের মধ্যে এক ধরনের দোদুল্যতা কাজ করে, বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে মূলধারায় কাজ করার যোগ্যতা নিয়ে। আমার মনে হয়, এই দেশে সেই সুযোগ আছে, প্রয়োজন শুধু মেধা এবং চেষ্টা। তাহলে সব ক্ষেত্রেই কাজ করার সুযোগ আছে।
সুশান্ত দাস গুপ্ত ব্রিটেনের মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সের রয়েল মেরিনে পরিবেশ-স্বাস্থ্য-অগ্নিনিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ।