যদি বৃষ্টি না হতো তাহলে আমরা কখনই সূর্যের আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সুযোগ পেতাম না। তবুও তীব্র রোদে অসহ্য হয়ে অনেক সময় আমরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করি। বৃষ্টি এলেও যে আমরা স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারি এমনটাও না।
আষাঢ়–শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষাকালে বৃষ্টির স্থায়ীত্ব হয় দীর্ঘ। এসময় প্রতিদিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে যানজটের সমস্যা দেখা দেয় বেশি। দ্রুত কোথাও পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ছাতা ছাড়া বাইরে বের হওয়ার কথা আমরা ভাবতেই পারি না। এসময় রাস্তায় জমা হয় জলবদ্ধতা, কাঁদামাটি। এছাড়া রোগশোক তো আছেই। স্বস্তির বৃষ্টিতেও রয়েছে অস্বস্তির কারণ–
যানজট সমস্যা বৃদ্ধি
শহর অঞ্চলগুলোতে যানজটের সমস্যা নিত্যদিনের। তবে বৃষ্টির দিনে এই যানজট সমস্যা দেখা যায় দ্বিগুণ। ইঞ্জিনে পানি ঢুকলে গাড়ি স্টার্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই গাড়ি ধীর গতিতে চালানো হয়। এ কারণে যানজট বেশি সৃষ্টি হয়। এছাড়া যে রাস্তাগুলো ভাঙ্গাচুড়া সেই রাস্তায় বৃষ্টির দিনে বেশি যানজট দেখা দেয়।
স্যাঁতস্যাঁতে ভাব
বৃষ্টি কম–বেশি সবাই পছন্দ করেন। তবে বৃষ্টির দীর্ঘস্থায়ী কেউ পছন্দ করে না। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টির কারণে ভেজা কাপড়, বাড়ির আঙ্গিনাও হয়ে উঠে স্যাঁতস্যাঁতে। কাজের ক্ষেত্রেও চলে আসে অবহেলা। এসময় আমরা ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি।
সর্দি–কাশিতে ভোগা
শিশু বা বয়স্করা বৃষ্টিতে একটু ভিজলেই সর্দি–কাশির মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে। যদিও এর জন্য বাজারে রয়েছে নানা ওষুধ, তবে সহজে ছাড়তে চায় না এ অসুখ। রয়েছে অনেক আয়ুর্বেদিক টোটকা যাতে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। তবে যতটা সম্ভব আমাদের সাবধানতার সাথে চলা উচিত।
বৈদ্যুতিক সমস্যা
বৃষ্টি হলে ঘনঘন লোডশেডিং এর সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় বজ্রপাতের কারণে টিভি, ফ্রীজের মতো ইলেক্ট্রনিক জিনিস নষ্ট হয়ে যায়। তাই বৃষ্টির মাত্রা দেখা দিলে দ্রুত টিভি, ফ্রীজের সুইচ অফ করে দিতে হবে।
ফুটপাতবাসীদের বাসস্থানের সমস্যা
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভোগেন ফুটপাতবাসীরা। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে চাল বেয়ে পানি চলে যায় ঘরের ভেতর। ঘরের বিছানা থেকে শুরু করে প্রায় সকল আসবাবপত্র ভিজে একাকার হয়ে যায়। তাই অনেক সময় তাদের না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে হয় সারারাত। এ কারণে তাদের বসবাসে জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়।
শায়লা/ দীপ্ত সংবাদ