বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের পুনরায় চালু করার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন অনশনরত কর্মীরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় এই কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ২৫ বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশবাসীর বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গাড়ির সংখ্যা ৭৬টি। এই গাড়িগুলো দেশের ৩২০০ এলাকায় বই দেওয়া-নেওয়া করে অর্থাৎ ৩২০০ ছোট লাইব্রেরির কাজ করে। এই লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ (নিয়মিত ও অনিয়মিত)। গত ছয় বছর ধরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমটিতে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে চলছে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের তৃতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় এই কার্যক্রমে অর্থায়ন করার আভাস পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রকল্পের নতুন পর্বের অনুমোদন পেতে কিছুটা সময় লেগে যাবে ফলে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর পর এই কার্যক্রমটি কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে।
আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলমান রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কিছু সংখ্যক কর্মী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনশন কর্মসূচি পালন করে। সেই প্রেক্ষিতে এবং পাঠকগণের কথা বিবেচনা করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে পুনরায় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা কার্যক্রম চালু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এতে কর্মীগণ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে, পাঠকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।