আজ বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস। পরিবেশ থেকে দিন দিন যেন বন্যপ্রানীগুলো বিলিন হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিকে সাজিয়েছেন বন্যপ্রাণী, উদ্ভিদ আর পরিবেশের অন্যান্য উপাদান দিয়ে কিন্তু মানুষের লোভের কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি।
সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসের মূল লক্ষ্য বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকুলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’।
এ বছর বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস শুক্রবার হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়েরর বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আগামী রোববার এই দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে।
এছাড়া আইইউসিএন ও বন অধিদপ্তর যে লাল তালিকা করেছে, তাতে দেখা গেছে দেশের ১৬১টি প্রজাতি হুমকির মুখে। এরা মহাবিপন্ন, বিপন্ন কিংবা সংকটাপন্ন। আর এই চার দলের প্রাণীর মধ্যে তুলনামূলকভাবে স্তন্যপায়ীর অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। বিশেষ করে মিঠাপানির নদীর শুশুক লাল তালিকায় বিপন্ন প্রজাতি। এর অর্থ হলো এটি নিকট ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে। বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় বিশ্বের সব নাগরিককে সোচ্চার আর সচেতন হতে হবে।
যূথী / দীপ্ত সংবাদ