আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের কারণে আগামী ২০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবেনা বিএনপি। বিএনপির এত লাফালাফি করে লাভ নেই। তাদের দুই শীর্ষ নেতা সন্ত্রাস, অর্থ চুরি, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত। এজন্য তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আর সে কারণেই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত করে যাচ্ছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করার মতো এখনো কোন ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই হবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করতে বানচালের জন্য বিএনপি তৎপর হয়ে মাঠে নেমেছে। আমাদের বিশ্বাস যেহেতু বিএনপির প্রতি জনসমর্থন নেই, জনগন তার পক্ষে নেই। জনগন চায় সংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন হোক, এটাই হবে।
আওয়ামী লীগ ভোট চুরির প্রজেক্ট খুলেছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোট চুরি করে না। ভোট চুরির সূচনা করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি ভোট চুরিতে রেকর্ড করেছিলেন।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তো দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি, স্বাভাবিকভাবে একজন দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদির জন্য দেশের যে প্রচলিত আইন আছে সেই আইনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত হয়ে যেতে হবে। বিএনপিরা কেন সেই লাইনে হাটছে না। তারাতো সকাল বিকেল শুধু সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ছাড়া আর কিছু দেখিনা।
হানিফ বলেন, সকাল বিকেলে সরকারের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ না করে যদি আদালতের শরণাপন্ন হন আমার তো মনে হয় সেক্ষেত্রে আদালত থেকে এর একটা সমাধানের পথ তারা খুজে পেতে পারে। সেইটা না করে যখন শুধু সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অর্থ কিন্ত সাধারন মানুষের কাছে মনে হয় বিএনপির এই সব নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আসলে রাজনীতি করতে চান।
হানিফ আরও বলেন, বিএনপি নেতারা এখন পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্নই হয় নাই, আমরা বুঝতে পারিনা কেন তারা প্রতিদিন সকালে/বিকালে এই সমস্ত অহেতুক অভিযোগ করতেছে আদালতে না গিয়ে। এটাই তো জনগনের কাছে সন্দেহ হয় বিএনপি আসলে চায় বেগম খালেদা জিয়ার শারিরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করার জন্য, খালেদা জিয়ার সুস্থতা তাদের কাছে কাম্য নয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যের প্রতিফলন থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে।
এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ