ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। এরপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দুইজন একসঙ্গে কক্সবাজারে গিয়ে স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে থাকেন হোটেলে। সম্প্রতি প্রেমিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তার বাড়িতে অনশনে বসেছেন প্রেমিকা। শুক্রবার (১৭ মার্চ) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বাড়িতে জড়ো হন স্থানীয় লোকজন। তবে উধাও প্রেমিক। পরে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান সহকারী উপ–পরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন।
প্রেমিকা জানান, গাজিন্দা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে গণবিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র হাসিবের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমে গড়ায় এই সম্পর্ক। গত দুই বছরে তার কাছ থেকে পড়াশোনা বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন হাসিব। পড়াশোনা শেষ করেই তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে যান। সেখানে একটি অভিজাত হোটেলে ওঠেন স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে। তিনদিন সেখানে থাকার পর চলে আসেন নিজ এলাকায়।
২০ দিন আগে প্রেমিকার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে গেলে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের লোকজনের। শিগগিরই প্রেমিকাকে বিয়ে করে বাড়ি তুলবে বলে জানালে ছাড়া পান হাসিব। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হাসিব। কোনও উপায় না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রেমিকার অভিযোগের বিষয়ে হাসিবের মা বলেন, ‘হাসিব ওই মেয়েকে নিয়ে একটু ঘোরাফেরা করেছে। তাই বলে ওই মেয়েকে বউ করে ঘরে তোলার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ–পরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ওই তরুণী বাড়িতে উঠার পর ৯৯৯–নম্বরে কল করেন হাসিবের মামা। পরে সেখান থেকে মীমাংসার লক্ষ্যে মেয়েটিকে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। উভয় পরিবারের মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যূথী/ দীপ্ত সংবাদ