পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর পণ্যটির দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছে বিভিন্ন দেশে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের।
তবে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাজারে পেঁয়াজ ওঠার মৌসুমে এই মুহূর্তে দামের অরাজকতা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমারের মতো দেশ পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। প্রতিবেশী দেশটি থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে কার্যত ঘাটতি পড়ে যায় এসব দেশে।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ২০২২–২৩ সালে ভারতে পেঁয়াজের আনুমানিক উৎপাদন প্রায় ৩১৮ লাখ মেট্রিক টন। যা আগের বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতে অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অন্য দেশে রপ্তানি হয়। মহারাষ্ট্রের পর কর্ণাটক এবং গুজরাটের অবস্থান। মধ্যপ্রদেশও উল্লেখযোগ্য পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য।
সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
তবে দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এছাড়াও চলতি বছর পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্যগুলিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হয়।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের ঝাঁজে নাকাল রাজধানীবাসী
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য মতে, বর্তমানে সেখানে রাজ্যভিত্তিক ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ আমদানি করে আনলে এই পেঁয়াজ অন্তত ৮০ টাকা দরে কিনতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু বাংলাদেশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রায় আড়াইশ টাকা দরে। অর্থাৎ ভারতের নিষেধাজ্ঞা নয় অভ্যন্তরীণ বাজারে অব্যবস্থাপনার কারণেই নিয়ন্ত্রণে নেই বাংলাদেশের পেঁয়াজের দাম।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় শ্রীলংকা ও নেপালেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে হন্যে হয়ে চিন ও মিশরের মতো দেশ থেকে আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ
আরো পড়ুন