২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার, নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং চাকরিচ্যুত সদস্যদের পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্য এবং কারাবন্দি সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা এই সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। ওই ষড়যন্ত্রে বিডিআর সদস্যদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা জানান, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার শুনানি রয়েছে। তারা এই মামলায় সকল আসামির জামিনের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত হয় দেশের ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। বিদ্রোহের নামে সংঘটিত ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান সম্প্রতি এ ঘটনাকে বিদ্রোহ নয়, বরং ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় বিচারিক আদালত ২০১৩ সালে রায় দেন, যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২৫৬ জনের সাজা হয়। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের ফাঁসি ও ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়।
বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পরও অনেক আসামি ও তাদের পরিবার এই বিচার প্রক্রিয়াকে অযৌক্তিক বলে দাবি করছেন।