বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়েবসাইটের (bdr-commission.org) মাধ্যমে, ই–মেইলে (comission@bdr-commission.org) অথবা কমিশনে সরাসরি হাজির হয়ে তথ্য দেওয়া যাবে।
এছাড়া কুরিয়ার ও ডাকযোগেও তথ্য সহায়তা করা যাবে। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম), নতুন ভবন (৭ম তলা), ড. কুদরত–এ–খুদা সড়ক (সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা–১২০৫– এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে তথ্য। কমিশনকে ঢাকার বাইরে অথবা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী তথ্যদাতার বাসায় যেয়ে বা অন্য যেকোনো স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হলে উল্লেখিত ঠিকানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
হটলাইন নাম্বারে কল দিয়েও তথ্য দেওয়া যাবে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (০১৭৬৯–৬০০২৮১)। তথ্য সহায়তাকারী ব্যক্তিবর্গের পরিচয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।
তথ্যদাতা তার নাম, ফোন, ই–মেইল, ঠিকানা সাবমিট করবেন ওয়েবসাইটে।
এর আগে তথ্যের প্রকৃতি নির্বাচন করতে হবে বেঁচে ফিরে আসা শহীদ পরিবারের ব্যক্তিবর্গের বিবৃতি, অন্যান্য সাক্ষী বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিবৃতি, প্রিন্ট মিডিয়া (খবরের কাগজ), ইলেকট্রনিক মিডিয়া (ইমেজ, ভিডিও, অডিও, নিউজ পেপার) মোবাইল কল রেকর্ড, মোবাইল ম্যাসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত, ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনার সংঘটনকারী এবং ঘটনার অপরাপর সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অপরাধীদের এবং সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, বিভাগ, সংগঠন চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে একটি ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন‘ গঠন করেছে। ইতোমধ্যে এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী কিছু কিছু বিদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি লেখা হয়েছে। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে পিলখানা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। কমিশন সব তথ্য সংগ্রহ এবং পর্যালোচনা করেছে।
ইএ